কাঠালিয়া প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির কাঠালিয়া ২নং পাটিখালঘাটা ইউনিয়ের তারাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা শেখর শীল ও সবিতা রানী সম্পর্কে তারা বিয়াই বিয়ান। সবিতার স্বামী বিদেশে যাবার পরেই জরিয়ে পরেছেন শেখর শীলের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে। শুধু শেখরই নয় এলাকার এবং এলাকার বাহিরের একাদিক লোকজনের সাথে সবিতার অনৈতিক সম্পর্কের প্রমান পেলে শেখর সবিতার থেকে দুরে সরে যায়। সম্পর্কের এই অবোনতির কারনে শত্রুতার শুত্রপাত। শত্রুতা মুল শিখরে পৌছালে হয় মামলা পাল্টা মামলা বলেন এলাকাবাসী।

সবিতা রাতী তারাবুনিয়া গ্রামের দিলীপ শিলের স্ত্রী। তিনি তিনটি কন্য সন্তান বিবাহিত এবং ১৪ বছরের একটি পুত্র সন্তানের জননী। গত দশ বছর আগে দিলীপ শীল বিদেশে চলে যায় কিছু দিন ভাল কাটলেও সবিতা আস্তে আস্তে জরিয়ে পরেন দেহ ব্যাবসায় দেহ ব্যাবসা থেকে রুপ নেয় ভংকর মাদক ব্যাবসায়। খুব দাপটের সাথে সবিতা বাড়িতে বসেই মাদক ও দেহ ব্যাবসা চালায়। কেও বাধা দিলে তাকে ধর্ষণ মামলার হুমকি দিয়ে ভয় দেখায় বলে ৯০ জনের গন সাক্ষর নিয়ে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেন এলাকাবাসীর পক্ষথেকে শেখর। অভিযোগে দ্রুত ব্যাবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান শিশির দাস।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় সচেতন জনতার একাংশ জানান সবিতা ও শেখর ৫/৭ বছর ধরে অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত। শেখরকে অনেক বার আমরা বারন করেছি শেখর আমাদের বরন শুনে না সবিতাকেও আমরা বারন করলে তিনী আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বলতেন আমরা রক্তে মাংসে জরিত হয়ে গেছি ছারা সম্বব নয়। এখন সম্পর্কের অবোনতির কারনে একে অপরের শত্রু হয়েছে।

সংখ্যাগোষ্ঠী জনতা জানান সাবিতা দেহ ব্যাবসা এবং মাদক ব্যবসা দাপটের সাথে চালিয়ে জাচ্ছেন কেও বাধা দিলে তাকে ধর্ষণ মামলার হুমকি দেন। সবিতা তার ছেলেকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে ঘুম পারিয়ে ঘরের ভিতরে পর পুরুষ নীয়ে রাত্রী যাপন করেন। স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজন তার মাদক ব্যবাসার পাটনার।

এদিকে সবিতা পুলিশ সুপারের কাছে শেখর শীল, রিপন হলদার, জাকির সিকদার, দিপক চৌকিদার এদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় সবিতা বলেন শেখর মাল্টা বাগান করার কথা বলে পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়েছে টাকা ফের চাইলে টাকা ফেরত নাদিয়ে ছেলে গুম আমকে খুন এবং ইজ্জৎ নস্ট করার হুমকি দেন।

সবিতা রানী সাংবাদিকদের জানান শেখর আমার সম্পর্কে বিয়াই হয় আমার মেয়ে বিবাহ দিয়েছি তার ভাগিনার কাছে। মাল্টা বাগান করার কথা বলে আমার কাছে ৫,০০,০০০ (পাঁচ লক্ষ) টাকা চায়। ২০২০ সালে ১,০০,০০ (এক লক্ষ) এবং বিভিন্ন কিস্তিতে সর্বোমোট ৫,০০,০০০ (পাঁচ লক্ষ) টাকা দেই, এক বছর পর টাকা ফিরিয়ে দেবার অঙ্গিকার করেন শেখর। কিন্তু দুই বছর গত হলে টাকা চাইলে হলে টাকা না দিয়ে আমার সন্তানকে গুম এবং আমার ইজ্জৎ নষ্ট করার হুমকি দেন।

শেখর শীল বলেন আমার বিয়াই দিলীপ শীল গত দশ বছর ধরে বিদেশে থাকে। এই সুযোগে সবিতা বিভিন্ন পর পুরুষের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে এবং মাদক ব্যবসার সাথে যুক্ত হয়েছে। সবিতা নিজেও তার দেহ ব্যাবসার খরিদ্দারদের নিয়ে ঘরের ভিতরেই মাদক সেবন করেন। এই অনৈতিক কাজে এলাকায় আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় তাই আমি তার এই খারাপ কাজে বাধা দেই। তাতে সবিতা ক্ষিপ্তহয়ে পুলিশ সুপারের কাছে আমার নামে ৫,০০,০০০ (পাঁচ লক্ষ) টাকা নিয়েছি বলে মিথ্যা মামলা করেছেন।

স্থানীয় চেয়ারম্যান শিশির দাশ জানান সবিতা তার ঘরে পরপুরুষ নিয়ে রাত্রিযাপন করেন এবং দাপটের সাথে মাদকের ব্যাবসা করেন। কেও কেও প্রতিবাদ করলে তাদের ধর্ষণ মামলার হুমকি দেন স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের সাথেও তিনি অশোভন আচরন করেন।

অভিযোগ তদন্তকারী এস আই আসাদুজ্জামান জানান অভিযোগের তদন্ত চলছে তদন্ত শেষে সত্যতা প্রমান হলে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

তথ্যসূত্র / আজকের বিডি